দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালে ১০১ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর এর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্রদের বেশি।
দেশের প্রায় ৫০টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে সংখ্যাটি প্রকাশ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। শনিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে তারা।
আঁচলের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্রদের বেশি। গত বছর আত্মহত্যা করা ১০১ জনের মধ্যে ৬২ জন বা ৬১ দশমিক ৩৯ শতাংশই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এছাড়া গত বছর মেডিকেল কলেজ ও অনার্স কলেজের ১২ জন শিক্ষার্থী, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা ২৩।
এছাড়া আত্মহত্যার প্রবণতা ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি। এই বয়সসীমার ৬০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ২৭ জন।
গবেষণায় বলা হয়, করোনাকালে আর্থিক টানাপোড়েন, লেখাপড়া ও পরীক্ষা নিয়ে হতাশা, পারিবারিক সহিংসতা, অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
এর আগে ২০২০ সালে ৭৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন।
কলমকথা/ সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।